প্রকাশিত: ১২/০৩/২০১৮ ৬:৪৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩২ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
নেপালে ইউএস বাংলার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। সোমবারের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১৭ জন।

বিমানের পাইলট ও ক্রু সহ ৭১ জন আরোহী ছিল। নিহত ও আহতদের সবার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে যাত্রীদের পরিচয় শনাক্ত করতে নেপাল রওনা হয়েছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।

সূত্রমতে, দুপুর ১২টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে। নেপালের স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণে সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পরে বিমানটি। দুর্ঘটনার কারণ এখানও জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণে নেপালে সব ধরণের বিমানের উঠা-নামা বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

বিমান থেকে যাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো পুড়ে গিয়েছে। নেপালের ফায়ার সার্ভিস সেনা সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশের,৩৩ জন নেপালের, চীন ও মালদ্বীপের একজন করে ছিল। বিমানে দুই জন পাইলট ও দুই জন ক্রু ছিল। আহত ও নিহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে ইউএস বাংলার পাইলট ক্যাপ্টেন আবেদ বলেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাছাড়া দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের সাহায্যে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি মিডিয়া সেন্টার খুলেছে তাদের বারিধারার কার্যালয়ে।

নিহত যাত্রীদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র:রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি

পাঠকের মতামত